
মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:
গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শেরপুর জেলার সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ফকির পাড়া গ্রামের মেধাবী ছাত্র জনাব রিপন মিয়া।
পিতা আবুল কালাম একজন কৃষক এবং মাতা খুদেজা বেগম একজন গৃহিণী। খুদেজা বেগমের ৩য় সন্তান রিপন মিয়া।
তিনি ২০০৬ সালে ফকির পাড়া পূর্ব ব্র্যাক স্কুল থেকে ৫ম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন এবং ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পান।
এরপর শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমি হতে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত ৮ম শ্রেণীর বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পান
একই স্কুল হতে ২০১২ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ হতে অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫.০০ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হোন এবং তৎকালীন ঢাকা বোর্ডে ১২তম স্থান অর্জন করে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত হোন।
এরপর শেরপুর সরকারি কলেজ হতে ২০১৪ সালে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ হতে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ অর্জন করেন।
পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
এমবিএ রেজাল্ট হওয়ার দেড় মাসের মধ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর আওতাধীন টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) এ সহকারী মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) পদে যোগদান করেন।
প্রায় ১ বছর ৮ মাস পবিসে চাকরি করার পর পেট্রোবাংলার আওতাধীন বাপেক্স(একমাত্র রাষ্ট্রীয় তেল গ্যাস ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও উৎপাদন কোম্পানি) এ সহকারী ব্যবস্থাপক পদে যোগদান করেন।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির নিরীক্ষা উপবিভাগে কর্মরত আছেন। রিপন মিয়া ছোট থেকেই অনেক মেধাবী ছাত্র ছিলেন। দিন রাত পরিশ্রম করে অবশেষে ৪৯ তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষা (হিসাববিজ্ঞান) ক্যাডারে সুপারিশ প্রাপ্ত হন ।
তার ছোট ভাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত। একমাত্র ছোট বোন ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভবিষ্যতে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমতাভিত্তিক ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চান।