
বিজয় চৌধুরী, ঢাকা
রাজধানীর মিরপুরে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া (৪৭) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজনীতির ময়দানে। সোমবার সন্ধ্যা প্রায় ৬:৪০-টায় মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি-ব্লকে একটি হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারির দোকানে তিন জন মুখোশ ও হেলমেট পরিহিত দুর্বৃত্ত দোকানে প্রবেশ করে তাঁর মাথা, বুকে ও পিঠে মোট ৭ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে।
লোকজন আহত অবস্থায় কিবরিয়াকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাতটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুলির ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল আজ (মঙ্গলবার) বিক্ষোভ মিছিল ঘোষণা করেছে। তাদের দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হামলা, এবং দোষীদের দ্রুত শনাক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাওয়া উচিত। স্থানীয় যুবদল কর্মীরা এবং নেতারা মিছিলে অংশ নিতে রাস্তার মুখে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ দিকে, এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াতে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ এবং অন্যান্য তদন্ত প্রমাণ পরীক্ষা করছে। পল্লবী থানার ওসি মফিজুর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, “কারা এটি করেছে, কি কারণে — সেটি তদন্তের পর স্পষ্ট হবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের সহিংসতা শুধু একটি দলীয় সংঘাত নয় — বরং সামগ্রিক রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রতিফলন, যা সাধারণ জনগণের মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।