
মোঃশফিয়ার রহমান পাইকগাছা {খুলনা} প্রতিনিধি -:
খুলনার পাইকগাছায় প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় দুই ছাত্রের তিন বছরের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে পাইকগাছা ভিলেজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়ার বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী আয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর অভিযোগ জমা দিয়েছে।
অভিযোগে জানাযায়, পাইকগাছা ভিলেজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০২২ সালে ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির তালিকা তৈরির সময় কৌসলে ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী দীপ সরদার অভিভাবক কুমারেশ সরদারের নগদ নাম্বারের স্থলে আায়া মারুফা বেগম তার ভাই মনিরুল ইসলাম নগদ ০১৯৩৮-১৩৩১৯৫ নাম্বার দেন। অপরদিকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইব্রাহিম শেখের অভিভাবকের নাম্বার না দিয়ে আয়া মারুফা বেগমের সাবেক স্বামী পলাশ গাজী ০১৯১৫-২০২৬৩৬ দিয়ে সেখান থেকে উপবৃত্তির টাকা উত্তলন করে আত্মসাৎ করেছে। চলতি বছর দীপ সরদার ২ কিস্তিতে ২৭শত টাকা ও ইব্রাহিম শেখের ৩৩ শত টাকাসহ মোট ৬ হাজার টাকা আত্মসাৎতের প্রমান মিলেছে উপজেলা শিক্ষা অফিসের নথি থেকে।
আয়া মারুফা বেগমের স্বামী পলাশ গাজী জানান, আমার সাবেক স্ত্রী প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা নিজে আত্মসাৎ করার জন্য আমার ও শ্যালকের নগদ নাম্বার দেন।
আয়া মারুফা বেগম জানান, শিক্ষার্থীদের নাম প্রস্তুত করার সময় স্বামী ও ভাইয়ের নগদ নাম্বার ব্যবহার করেছি। কারন শিক্ষার্থীর অভিভাবক সেসময় নগদ নাম্বার দিতে পারেনি। টাকা আসলে আমরা উত্তলন করি। প্রধান শিক্ষক কিছু জানেনা।
দীপ সরদারের মা জোছনা সরদার জানান, আমার ছেলের নামে যে উপবৃত্তির টাকা আসে সেটা আমার জানা নেই। অর্থের অভাবে আমার ছেলের লেখা পড়া বন্দ হয়েছে কিন্তু উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করেছে স্কুলের লোকজন।
প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান জানান, আয়া মারুফা বেগম শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের বিষয়ে আমার জানা নেই। এতে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।