
বিজয় চৌধুরী, ঢাকা
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজিত আলোচনা সভায় এক দৃঢ় বার্তা দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন,
“সকল ষড়যন্ত্র, ভয়-ভীতি ও দমননীতি রুখে দিতে ছাত্রদল একাই যথেষ্ট। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়ে ওঠা এই সংগঠন বারবার প্রমাণ করেছে, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে ছাত্রদলই হচ্ছে অগ্রণী শক্তি।”
তিনি আরও বলেন,
“৭ নভেম্বর শুধু একটি ঐতিহাসিক দিন নয়, এটি আমাদের আত্মমর্যাদার প্রতীক। এ দিন আমাদের শেখায় কিভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হয়, কিভাবে জাতির সংকটময় মুহূর্তে নেতৃত্ব দিতে হয়।”
সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে রাকিব বলেন,
“আজ যারা ছাত্রদলের পতাকা বুকে ধারণ করেছে, তারা শুধু রাজনীতি করছে না—তারা শহীদ জিয়ার আদর্শ ও গণতন্ত্রের মূল্যবোধ রক্ষা করছে। আমরা ভয় পাই না, কারণ আমরা সত্য ও জনগণের পক্ষে আছি।”
অনুষ্ঠানে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিপুলসংখ্যক ছাত্রদল নেতা-কর্মী অংশ নেন। তারা “গণতন্ত্র মুক্ত করো”, “জিয়ার সৈনিক এক হও”—এমন স্লোগানে পুরো মিলনায়তন মুখর করে তোলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন,
“৭ নভেম্বরের চেতনা আজও আমাদের আন্দোলনের অনুপ্রেরণা। বর্তমান দুঃসময়ে ছাত্রদলই বিএনপির প্রাণ, এই সংগঠনই আগামীর মুক্ত গণতন্ত্রের ভরসা।”
বক্তারা ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, এই দিনটি ছিল সৈনিক-জনতার অটুট সংহতির প্রতীক, যা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় সূচনা করেছিল।
সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।