মিজানুর রহমান,শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:
গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার গর্ব ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান ৬ ই আগস্ট ১৯৯১ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
পিতা:শফিকুল ইসলাম, মাতা:সুফিয়া খাতুন, তার বাবা ছিলেন একজন ফার্মাসিস্ট।
ডাক্তার মনিরুজ্জামান ছোট থেকেই অনেক মেধাবী ছাত্র ছিলেন।
তিনি পঞ্চম শ্রেণিতে শ্রীবরদী প্রিপারেটরি স্কুল থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ এবং উপজেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেন।
এর পর শেরপুর আইডিয়াল প্রিপারেটরি স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন এবং ২০০৯ সালে একই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন এবং বোর্ড স্কলারশিপ অর্জন করেন।
মনিরুজ্জামান ২০১১ সালে শেরপুর সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।
এর পর বাংলাদেশের প্রথম সারির মেডিকেল শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চান্স পান এবং এমবিবিএস শেষ করে কিছুদিন খিদমাহ হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করেন।
এর পর ২০২০ সালে করোনার সময় তিনি তার নিজ এলাকা শ্রীবরদীতে চলে আসেন এবং চেম্বারের পাশাপাশি বিসিএস এর জন্য পড়াশোনা চালিয়ে করে যান।
অবশেষে তিনি ৪২ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিজ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন।
তার সহধর্মিণী ডাঃ নিশাত তাসনীম একই বিসিএসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। ইতোপূর্বে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন এবং বর্তমানে সেখানেই কর্মরত রয়েছেন।
ডা. মনিরুজ্জামান মেডিকেল সহ বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে ৪০ টির মত বই লিখেছেন। তিনি বর্তমানে নিজ উপজেলার তার বাবার প্রতিষ্ঠিত আস্থা হেলথ পয়েন্টে বিনামূল্যে ডায়াবেটিস রোগিদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডাঃ মনিরুজ্জামান বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর সাথে কাজ করেন এবং কোভিডের সময় নিজ এলাকার রোগীদের জন্য ফ্রী অনলাইন কনসাল্টেশনের উদ্যোক্তা ছিলেন।
দৈনিক গণকথা সম্পাদক ও প্রকাশক