মোঃ সাইফুল ইসলাম বালিয়াডাঙ্গী ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি,
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার এখন ভোরের দৃশ্য যেন এক অনিন্দ্যসুন্দর কবিতা। সূর্যের আলো ম্লান হয়ে আসে ঘন কুয়াশার আড়াল থেকে, মাঠজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে সাদা আবরণের মতো শিশির ও কুয়াশা। এই দৃশ্য শুধু চোখে নয়, হৃদয়ে ছুঁয়ে যায়। স্থানীয়দের ভাষায় এ যেন আগাম শীতের আগমনীবার্তা।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়েই বালিয়াডাঙ্গীতে এমন কুয়াশা সাধারণত দেখা যায় না। কিন্তু এ বছর সকালবেলা দৃশ্যমানতা এতটাই কমে গেছে যে কয়েক ফুট দূরের মানুষকেও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। ভোরে স্কুলগামী শিশু, কৃষক ও শ্রমজীবীরা ঠান্ডা বাতাসে জড়সড় হয়ে রওনা দিচ্ছেন নিজ নিজ গন্তব্যে। মাঠে ফুটবল খেলতে নামা কিশোররা কুয়াশার ভেতর হারিয়ে যায়, আবার আবছা আলোয় ভেসে ওঠা দৃশ্যটি যেন স্বপ্নের মতো।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলে এবার শীত কিছুটা আগেই নামছে। হিমালয়ের ঠান্ডা বাতাস ধীরে ধীরে বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তে প্রবেশ করায় এর প্রভাব বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় আগে থেকেই অনুভূত হচ্ছে শীত। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, এই ঠান্ডা হাওয়া ধানের পরিপক্বতায় প্রভাব ফেললেও আলু, গম ও শীতকালীন সবজির জন্য এটি শুভ লক্ষণ।
বাজারের চা-দোকানগুলোতেও জমে উঠেছে আলাপ। কেউ বলছেন, “এই কুয়াশা দেখেই বোঝা যায়, এবার শীতটা জমজমাট হবে।” কেউ আবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন গরম কাপড় বের করার।
কুয়াশার এই সকাল যেন প্রকৃতির এক নীরব আহ্বান, শীত আসছে, জীবন একটু ধীরে চলুক, আর মানুষ ফিরে যাক উষ্ণতার খোঁজে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার এই আবছা প্রভাত তাই শুধু ঋতুর পরিবর্তনের ইঙ্গিত নয়, বরং এক স্নিগ্ধ সৌন্দর্যের প্রতিচ্ছবি।
দৈনিক গণকথা সম্পাদক ও প্রকাশক